
জেলা প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
গোলাপের সৌরভে সুবাসিত সাদুল্লাপুর। ছবি : সংগৃহীত
গ্রামের নাম সাদুল্লাপুর, যার পরিচয় গোলাপগ্রাম। পুরো গ্রামই যেন গোলাপের বাগান। গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে গোলাপের সৌরভ। গ্রামের উঁচু-নিচু রাস্তার দুধার লাল রঙের চাদরে ঢাকা। লাল, হলুদ ও সাদা রঙের গোলাপের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে এর অবস্থান। শহরের ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে গোলাপের রাজ্যে ঘুরে আসতে পারেন।
এই গ্রামের ভেতর অসংখ্য আঁকাবাঁকা সরু পথ। পথের দুধার ঘেঁষে অসংখ্য গোলাপের বাগান। চোখের শেষ সীমানা পর্যন্ত লাল গোলাপের রাজ্য। সাদা গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরার বাগানও চোখে পড়ে।
গোলাপ চাষের জন্য এই গ্রামের নাম দেওয়া হয় গোলাপগ্রাম। বারো মাসই এখানে ফুল চাষ হয়। প্রায় ছত্রিশ একর জমিতে বসেছে বিভিন্ন রঙের ফুলের আসর। গোলাপ ছাড়াও ছয় থেকে সাত রকমের ফুল চাষ হয় এখানে। এর মধ্যে রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, মাম, জারভারা, গ্লাডিওলাস, কেরেন্ডলা, রজনীগন্ধা ও জিপসি।
সারা বছর ফুলের চাষ হয় এখানে। প্রতিদিনই ফুল তোলেন চাষিরা। উৎপাদিত ফুল বাজারজাত হয়ে ছড়িয়ে যায় জেলায়-জেলায়। গোলাপগ্রামে প্রতিদিন ঘুরতে আসেন অনেক মানুষ। মেয়েরা শাড়ি পরে গোলাপের বাগানের আঁকাবাঁকা পথে হেঁটে চলে। হাতে গোলাপ, মাথায় ফুলের মুকুট। এ যেন গোলাপরাজ্যের রানি। ফুল তুলতে ব্যস্ত চাষিরা। পঞ্চাশটি গোলাপ ফুলের আঁটি বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়। সবার হাতে লাল গোলাপ। এখানে মুহূর্তের মধ্যে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে। ফুলের মাঝে কিছুক্ষণের জন্য মন হারিয়ে যাবে।
ঢাকার আশপাশে অল্প সময়ের জন্য ঘুরতে চাইলে গোলাপগ্রাম উপযুক্ত জায়গা। মাত্র দেড়শ থেকে দুইশ টাকা যাতায়াত খরচে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড আসতে হবে। গাবতলী বাসস্টান্ড থেকে যে কোনো বাসে সাভার বাসস্ট্যান্ডের ওভারব্রিজের নিচে নামতে হবে। গাড়ি ভাড়া ৩০ টাকা। ওভারব্রিজ পাড় হয়ে পূর্ব দিকের বিরুলিয়া ইউনিয়নের রাস্তায় ব্যাটারিচালিত গাড়িতে ৩০ টাকা ভাড়ায় ৩-৪ কিলোমিটার দূরত্বে গেলেই স্বপ্নের গোলাপ গ্রামের দেখা মিলবে। গোলাপের সৌন্দর্য দেখতে আমরা দশজনের দল এসেছি এখানে।
তুরাগ নদীর তীর ঘেঁষে গোলাপ গ্রাম। গোলাপের সুগন্ধ আর চোখ জুড়ানো দৃশ্য নিয়ে পুরো গ্রাম ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতোই সুন্দর। শুধু সাদুল্লাহপুর নয়, আশপাশের শ্যামপুর, কমলাপুর, বাগ্মীবাড়ি গ্রামের গোলাপের রাজ্যে চোখ আটকে যাবে যে কারও।
খাবার
গোলাপগ্রামে চা-বিস্কুট ও নাশতার দোকান আছে। এ ছাড়া ভালো কিছু খেতে চাইলে কাছেই সাদুল্লাপুর বাজার। গোলাপগ্রাম থেকে রিকশাভাড়া মাত্র দশ টাকা। সেখানে খাবার হোটেল ও নাশতার দোকান রয়েছে। নতুবা কেউ চাইলে সাভার এসে ভালো রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন।
সতর্কতা
ফুল ছিঁড়বেন না। ফুলের বাগানে প্রবেশ করবেন না। গ্রামের মানুষ বিরক্ত হয়, এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।
যারা প্রকৃতির সান্নিধ্য ভালোবাসেন, যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে ঘুরে আসতে পারেন লাল গোলাপের গ্রামে। এই সৌন্দর্য আপনার যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি অনেকটা দূর করবে।
Posted ১:৫৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৭ | |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১ | ১৩ | ৪ |
১৫ | ১৬ | ১ | ৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২ |
৯ | ৩০ | ৩১ |